বিনোদন ডেস্ক, বিডিনিউজ ১০ ডটকম: আইয়ুব বাচ্চুর সাথে কি বোর্ড বাজাতেন এসআই টুটুল। এলআরবি ব্যান্ডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৪-০৫ সালে এলআরবি থেকে বেরিয়ে নিজেই একটি ব্যান্ড গঠন করেন নাম দেন ‘এফটুএফ’ যার অর্থ ফেইস টু ফেইস। এই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘ধ্রুবতারা’ তুমুল হিট হয়।
এলআরবি ছিল টুটুলের সঙ্গীত জীবনের পীঠস্থান। এলআরবি’র জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ‘শেষ চিঠি’ যেটা এসএই টুটুলের গাওয়া। আইয়ুব বাচ্চুর সাথে টুটুলের ক্যারিয়ার নিয়ে ভিন্নতা তৈরি হয়। এলআরবি থেকে আলাদা হয়ে টুটুলের অর্জন কম কিছু না।
দারুচিনি দ্বীপ চলচিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র সেরা সঙ্গীত পরিচালকের এবং ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পীর পুরষ্কারে ভূষিত হন। তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে নিরন্তর চলচিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাপজানের বায়োস্কোপ চলচ্চিত্রের সেরা সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
টুটুল ও এলআরবির পথ আলাদা হয়ে গেলেও আইয়ুব বাচ্চুর জন্য ভালোবাসা কমেনি তার। গতকাল সন্ধ্যায় আইয়ুব বাচ্চুর স্টুডিও এবি কিচেনে স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন টুটুল। ১৪ বছর পর আইয়ুব বাচ্চুর স্টুডিওতে আসেন তিনি।
আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের আয়োজনে এবি কিচেনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বাচ্চুর স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সংগীতাঙ্গনের অনেক তারকা, সাংবাদিক ও আইয়ুব বাচ্চুর কাছের মানুষজন। এসেছিলেন এস আই টুটুলও।
টুটুল উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার একজন জন্মদাতা বাবা আছেন যিনি আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছেন। কিন্ত আমার আরেকজন বাবা ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু যিনি আমাকে মিউজিকের জগতে জন্ম দিয়েছেন। তার ছায়া না পেলে, তার আশ্রয়-স্নেহ না পেলে আমি কোনোদিন আজকের টুটুল হতাম না। বাচ্চু ভাইয়ের কাছ থেকে দূরে গিয়েও আমি তার ছায়া কাটাতে পারিনি। লোকে আমাকে এলআরবি’র টুটুল বলেই চিনে এসেছে সবসময়।
এস আই টুটুল আরও বলেন, ‘বাচ্চু ভাই আমার গুরু। তিনি ইমোশনাল একজন মানুষ ছিলেন। এই ইমোশন তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, তার কাছের মানুষ হিসেবে আমরাও অনেকে অনেক কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু সেসবই কেবল মিছে অভিমান। আমি দোয়া করি, আল্লাহ বাচ্চু ভাইকে যেন বেহেস্ত দান করেন। তার মৃত্যুর পর বোঝা যাচ্ছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কত বড় জায়গাজুড়ে তিনি ছিলেন।
এস এই টুটুল যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন সম্প্রতি আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দেশে ফেরেন তিনি।